কৃষি কাজে কীটনাশকের জুড়ি নেই। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কৃষকের কাছে ভেজাল মেশানো কীটনাশক বিক্রি করছে। এতে কৃষকেরা খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। কৃষকেরা যেনো ক্ষতির মুখে না পড়ে এবং ব্যবসায়ীরা যেনো ভেজাল কীটনাশক বিক্রি করতে না পারে এবং তাদের নজরদারিতে রাখা যায় সেই জন্য কীটনাশকের খুচরা ও পাইকারী বিক্রেতাদের লাইসেন্সের আয়তায় নিয়ে আসা হয়েছে।

আবেদনকারী লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং অর্থসহ উপজেলা কৃষি অফিস বরাবর অবেদনপত্র দাখিল করবেন। উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা এই আবেদন তদন্ত করবেন। তিনি দেখবেন, আবেদনকারির পৃথক ঘর আছে কিনা, কীটনাশক সংরক্ষণ করার জন্য আলাদা ব্যবস্থা আছে কিনা।

দোকান বা গুদামের পাশে কোন খাবারের দোকান আছে কিনা, আবেদনকারি লেখাপড়া জানে কিনা এই সব বিষয় তদন্ত করে উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা উপজেলা অফিসে সুপারিশ করবেন। এরপর আরো কিছু আনুষ্ঠানিকতার পর জেলা অফিস লাইসেন্স প্রদান করবেন। আবেদনকারি উপজেলা অফিস থেকে লাইসেন্স সংগ্রহ করবে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র: ক. আবেদনপত্র খ. ৩০০/১০০০ টাকার ট্রেজারি চালান (খুচরা ৩০০/- এবং পাইকারি ১০০০/-) গ. ট্রেড লাইসেন্স সনদপত্রের সত্যায়িত কপি ঘ. গুদাম/দোকানের কাগজের সত্যায়িত কপি ঙ. আবেদনকারীর ০২ কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত কপি চ. জাতীয় পরিচয়পত্র/নাগরিকত্বের সনদ ছ. পাইকারি লাইসেন্সের ক্ষেত্রে আয়কর সনদপত্রের সত্যায়িত কপি জ. আইনানুসারে অঙ্গীকারনামা ঝ. নিজস্ব ঘর না হলে ভাড়ার চুক্তিপত্র

প্রয়োজনীয় খরচ: ১. কীটনাশকের খুচরা বিক্রেতার নতুন লাইসেন্স এর ফি ৩০০ টাকা ও নবায়ন ফি ২০০ টাকা,: ২. কীটনাশকের পাইকারি বিক্রেতার নতুন লাইসেন্স এর ফি ১০০০ টাকা ও নবায়ন ফি ৫০০ টাকা। প্রয়োজনীয় সময়: ১০-১৫ দিন

কাজ শুরু হবে: উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের কৃষি অফিস। আবেদনের সময়: সারা বছর। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা: ১. উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ২. কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ৩. উপ সহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার (SAPPO)। সেবা না পেলে কার কাছে যাবেন: উপ-পরিচালক , কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট।